অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?

অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?
অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?

প্রশ্ন:- আমি অনেক বছর আগে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম। ঠাকুরের কথামৃত ও বিভিন্ন বই পাঠ করে এবং মায়ের বিভিন্ন বই পড়ে আমি মাতৃ মন্ত্রে দীক্ষা নিতে চাই

। সেটা কিভাবে সম্ভব হবে।

মহারাজ ●●● এটা গুরুদেবের উপর নির্ভর করছে।

আপনি কোন গুরুদেবকে যদি বলেন আমার অমুক মন্ত্র চাই, তিনি দেবেন কিনা তার কোন ঠিক নেই।

আপনি সেইজন্য চিন্তা করে দেখুন।

একজনের কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন, এখন তাকে ত্যাগ করতে চাইছেন।

পরে যার কাছে দীক্ষা নিতে চাইছেন তাকেও তো আপনি ত্যাগ করতে পারেন।

সাধনা গুরুর উপর বিশেষ নির্ভর করে না।

এছাড়া আপনি কিভাবে বুঝলেন, এই মন্ত্রটি আপনার পক্ষে ঠিক হবে।

ভালোলাগা অন্য বিষয়।

সেই জন্য আপনি ভেবে দেখুন কি করবেন।

অথবা কাশীপুর উদ্যানবাটী বা রামকৃষ্ণ মিশনের কোন শাখায় গিয়ে কথা বলতে পারেন, সেখানে কি বলেন দেখুন।

প্রশ্ন:-●ধর্মনীতি নিয়ে বিভিন্ন মতের কথা শুনে কখনো বিভ্রান্ত লাগে। একই বিষয়ে দুরকম কথাও বলা হয়েছে মহাভারত ইত্যাদি শাস্ত্রে। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়?

মহারাজ ●●●কমন সেন্স ব্যবহার করুন।

আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা কী বলে সেটা চিন্তা করুন।

এবং সর্বোপরি নিজের বিবেকের কথা শুনুন।

কথায় কথায় শাস্ত্র দেখেন কেন?

নিজস্ব বুদ্ধির সাহায্যে সমাধান খুঁজুন।

শাস্ত্রে নানারকম কথা রয়েছে বিভিন্ন সাধকের দিকে তাকিয়ে।

একই সত্যকে প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।

যেমন গীতা ব্যাখ্যা শঙ্কর একভাবে করেছেন, রামানুজ অন্যভাবে।

এরকম

  • জ্ঞানেশ্বর,
  • তিলক,
  • গান্ধী,
  • অরবিন্দ,
  • প্রভুপাদও।
    🌾🌿🌾🌿🌾🌿🌾🌿🌾
    অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?
    অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?

একদিন স্বামীজী বাগবাজারে ৺বলরাম বসুর বাটীতে আছেন, আমি তাঁকে দর্শন করতে গেছি।

তাঁর সঙ্গে আমেরিকার ও জাপানের অনেক কথা হবার পর আমি জিজ্ঞাসা করলাম —

প্রশ্ন:- স্বামীজী, আমেরিকায় কতগুলি শিষ্য করেছ?

স্বামীজী:- অনেক।

প্রশ্ন:- ২/৪ হাজার দীক্ষা ?

স্বামীজী:- ঢের বেশী।

প্রশ্ন:- কি, সব মন্ত্রশিষ্য?

স্বামীজী:- হ্যাঁ।

প্রশ্ন:- কি মন্ত্র দিলে, স্বামীজী ? সব প্রণবযুক্ত মন্ত্র দীক্ষা দিয়েছ ?

স্বামীজী:- সকলকে প্রণবযুক্ত মন্ত্র দীক্ষা দিয়েছি।

প্রশ্ন:- মহারাজ, লোকে বলে শূদ্রের প্রণবে দীক্ষা অধিকার নাই, তাই তারা ম্লেচ্ছ ; তাদের প্রণব কেমন করে দিলে ? প্রণব ত ব্রাহ্মণ ব্যতীত আর কারো উচ্চারণে অধিকার নাই?

স্বামীজী:- যাদের মন্ত্র দিয়েছি তারা যে ব্রাহ্মণ নয়, তা তুই কেমন করে জানলি?

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়া সব ত যবন ও ম্লেচ্ছ দেশ; তাঁদের মধ্যে আবার ব্রাহ্মণ কোথায়?

স্বামীজী:- আমি যাকে যাকে মন্ত্র দীক্ষা দিয়েছি, তারা সকলেই ব্রাহ্মণ।

ও কথা ঠিক, ব্রাহ্মণ নইলে প্রণবের অধিকারী হয় না।

ব্রাহ্মণের ছেলেই যে ব্রাহ্মণ হয় তাঁর মানে নেই, হবার খুব সম্ভাবনা, কিন্তু না হতেও পারে।

বাগবাজারে অঘোর চক্রবর্ত্তীর ভাইপো যে মেথর হয়েছে।

মাথায় করে গুয়ের হাঁড়ী নে যায়।

সেও ত বামুনের ছেলে।

প্রশ্ন:- ভাই, তুমি আমেরিকা – ইংলন্ডে ব্রাহ্মণ কোথায় পেলে ?

স্বামীজী:- ব্রাহ্মণজাতি আর ব্রাহ্মণ্যগুন দুটো আলাদা জিনিস।

এখানে সব জাতিতে ব্রাহ্মণ, সেখানে গুনে।

যেমন

  • সত্ত্ব,
  • রজঃ,
  • তমঃ

তিনটে গুন আছে জানিস্;

তেমনি

  • ব্রাহ্মণ,
  • ক্ষত্রিয়,
  • বৈশ্য,
  • শূদ্র

বলে গণ্য হবার গুনও আছে।

এই তোদের দেশে ক্ষত্রিয়-গুনটা প্রায় লোপ পেয়ে গেছে।

ওদেশে এখন সব ক্ষত্রিয়ত্ব থেকে ব্রাহ্মণত্ব পাচ্ছে।

প্রশ্ন:- তার মানে সেখানকার সাত্ত্বিকভাবের লোকদের তুমি ব্রাহ্মণ বলছ ?

স্বামীজী:- তাই বটে ;

  • সত্ত্ব
  • রজঃ
  • তমঃ

যেমন সকলের মধ্যেই আছে— কোনটা কাহারও মধ্যে বেশী, তেমনি

  • ব্রাহ্মণ,
  • ক্ষত্রিয়,
  • বৈশ্য ও
  • শূদ্র

হবার কয়টা গুণও সকলের মধ্যে আছে।

তবে এই কয়টা গুণ সময়ে সময়ে কম বেশী হয়।

আর সময়ে সময়ে এক একটা প্রকাশ হয়।

একটা লোক যখন চাকরী করে তখন সে শূদ্রত্ব পায়।

যখন দুপয়সা রোজগারের ফিকিরে থাকে তখন বৈশ্য,

আর যখন মারামারি ইত্যাদি করে তখন তাঁর ভিতর ক্ষত্রিয়ত্ব প্রকাশ পায়।

আর যখন সে ভগবানের চিন্তায় বা ভগবৎপ্রসঙ্গে থাকে, তখন সে ব্রাহ্মণ।

এক জাতি থেকে আর জাতি হয়ে যাওয়াও স্বাভাবিক।

বিশ্বামিত্র আর পরশুরাম —একজন ব্রাহ্মণ ও অপর ক্ষত্রিয় কেমন করে হল?

প্রশ্ন:- এ কথা ত খুব ঠিক বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেশে অধ্যাপক আর কুলগুরু মহাশয়রা সেরকম ভাবে দীক্ষাশিক্ষা কেন দেন না?

স্বামীজী:- ঐটি তোদের দেশের একটি বিষম রোগ।

যাক্।

সেদেশের যারা ধর্ম করতে শুরু করে, তারা কেমন নিষ্ঠা করে জপতপ, সাধন ভজন করে!

প্রশ্ন:- মহারাজ, তাঁদের আধ্যাত্মিক শক্তিসকলও অতি শীঘ্র প্রকাশ পায় শুনতে পাই। সেদিন শরৎ মহারাজের নিকট তাঁর একজন শিষ্য মোট চার মাস সাধনভজন করে যে-সকল ক্ষমতা হয়েছে, তাঁর বিষয়ে লিখে পাঠিয়েছেন, শরৎ মহারাজ দেখালেন।

স্বামীজী:- হ্যাঁ, তবে বোঝ তারা ব্রাহ্মণ কিনা — তোদের দেশে যে মহা অত্যাচারে সমস্ত যাবার উপক্রম হয়েছে।

গুরুঠাকুর দীক্ষা মন্ত্র দেন, সেটা তাঁর একটা ব্যবসায়।

আর গুরু- শিষ্যের সম্বন্ধটাও কেমন ! ঠাকুর মহাশয়ের ঘরে চাল নেই।

গিন্নি বললেন,

“ওগো, একবার শিষ্যবাড়ি-টাড়ি যাও; পাশা খেললে কি আর পেট চলে ?”

ব্রাহ্মণ বললেন

“হ্যাঁগো, কাল মনে করে দিও, অমুকের বেশ সময় হয়েছে শুনেছি, আর তার কাছে অনেকদিন যাওয়া ও হয় নি।”

এই তো বাঙ্গলার গুরু দীক্ষা ! পাশ্চাত্যে আজও ও প্রকারটা হয় নি।

সেখানে অনেকটা ভাল আছে।

অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?
অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?

Read More

“আমি” , স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ ……..

আমাদের রণেন মহারাজ অথাৎ পূজনীয় স্বামী শিবময়ানন্দজী

 

1 thought on “অনেক আগে অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিয়েছিলাম নতুনকরে মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতেচাই হবে ?”

  1. উপরের অংশটি তে মহারাজ বলতে কোন মহারাজের কথা বলা হচ্ছে?
    নিচে স্বামীজীর সাথে এই কথোপকথন ও উপরের প্রসঙ্গ দুটির ক্ষেত্রেই তথ্যসূত্র দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো। তাহলে পাঠকের সুবিধা হয়।।।

    Reply

Leave a Comment